বিমানের বন্ড লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ায় যেকোন সময় এর অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে খোদ বিমান কর্তৃপক্ষ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এনবিআরের বন্ড কমিশনারকে লেখা চিঠিতে এ আশংকা প্রকাশ করেন বিমানের প্রকিউরমেন্ট এন্ড লজিস্টিক শাখার পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ। গেল ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি বন্ড কমিশনারকে চিঠি দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ঢাকা কাস্টমস কমিশনার ও বিমানের এমডিকে চিঠির কপি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে যে, বন্ড লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ায় বিমানের জন্য বিদেশ থেকে আনা মালামাল কাস্টমস ছাড়করণে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে যেকোন সময় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়তে পারে।
জানা যায়, বন্ড লাইসেন্স দেয়ার জন্য যেসব শর্ত মানতে হয় বিমানের পক্ষ থেকে সবগুলোর পরিপালন করা হয়নি। বিশেষ করে বিমান তাদের বন্ড লাইসেন্সের আওতায় যাবতীয় জিনিসপত্র ৬ ভাবে ভাগ করেছে। কাস্টমস মনে করে, আরও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো বিমান এখানে যুক্ত করেনি। ফলে বন্ড লা্সেন্স নবায়ন পিছিয়ে গেছে। বিমান বলছে, তাদের আমদানিকৃত মালামালের মধ্যে ব্যাপক বৈচিত্র রয়েছে। তারা সব কিছুকে ৬টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। এগুলো হচ্ছে- খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বিমানের যন্ত্রাংশ ও উপাদান, পরিবেশক উপকরণ, ভূ-চালনা উপকরণ, মোটর যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য। বিমান জানায়, তাদের জিনিসপত্র এ ৬ ক্যাটাগরিতে নিরীক্ষা করে বন্ড লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। সংস্থাটির তথ্যমতে, বিমানের বন্ড লাইসেন্সের মেয়াদ আগে শেষ হয়েছে। তাদেরকে ২০১৮ সালের জিনিসপত্রের ওপর নিরীক্ষা করে ২০২০ সাল পর্যন্ত বন্ড লাইসেন্স দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্ড কমিশনারেটের কোন কর্মকর্তাকথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশ না করে একটি সুত্র জানায়, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।