শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জিলকদ, ১৪৪৫ | ০৩:১৯ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

এই দেশে ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করবে

বাসস
img

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দেশে ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করবে। আজ বুধবার বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সবাই এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঢেলে দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। যার যা ধর্ম, তা পালনের স্বাধীনতা সবারই থাকবে। আমরা সেই চেতনায় বিশ্বাস করি এবং ইসলাম আমাদের সে শিক্ষাই দিয়ে থাকে।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি একটা কথাই বলব, এই মাটিতে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ—সকল ধর্মের মানুষের বসবাস থাকবে, অর্থাৎ আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে অন্য ধর্মকে অবহেলার চোখে দেখব, তা নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে যেকোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান বিজয়ের প্রাক্কালে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জ্ঞানী–গুণী কেউ না থাকে। ঠিক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশেষ করে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ব্যাপকভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা চলে এবং আমরা ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা ওঠানোর চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ নিয়ে চলবে।
শেখ হাসিনা এ সময় কোভিড-১৯ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে নামটি পঁচাত্তরের পর মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, সেখানে আজ ইউনেসকো ঘোষণা দিয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অর্থনীতির ক্ষেত্রে যাঁরা অবদান রাখতে সমর্থ হবেন, তাঁদের আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া হবে। আলোচনা সভায় প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ দলের শীর্ষ নেতারাও বক্তৃতা করেন।

 

Facebook Comment

Your Comment

আরো খবর