শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব, ১৪৪৬ | ১০:৩০ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out

মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির নির্দেশনা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
img

আজ থেকে শুরু ঢাকাসহ দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন। তা চলবে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। করোনার কারণে এ বছর বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধু ( https://gsa.teletalk.com.bd) অনলাইনে আবেদন করা যাবে। বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ ও ফি প্রদানসংক্রান্ত নিয়মাবলি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল সোমবার মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়মাবলি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি শাখা ছিল। এবার জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি হয়। এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এত দিন একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।

এ ছাড়া সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। তখন প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে পছন্দক্রম অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। ভর্তির আবেদন করতে ১১০ টাকা ফি শুধু টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করে পরিশোধ করা যাবে।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও ভর্তির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। পাঁচটি শর্ত মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করবে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তির কাজটি বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি গত শনিবার জারি করেছে মাউশি। আবেদনের তারিখ নিজেদের মতো ঠিক করবে বেসরকারি বিদ্যালয়। আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা।

যেসব শর্তে ভর্তির কাজটি করবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো, সেগুলো হলো করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে লটারি প্রক্রিয়াটি ফেসবুকে লাইভে অথবা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরকারের ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটি, বিদ্যালয়েরর ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য বলেছে মাউশি।

 

Facebook Comment

Your Comment

আরো খবর