বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ নানান বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ। বৈঠকে দেশ দুটির মধ্যে নয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। বৈঠকটি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালের আগের পুরনো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগটি সুদীর্ঘ ৫৫ বছর পর পুনরায় উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া পানি বণ্টন, কোভিড-১৯ সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, যোগাযোগ, বিদ্যুত ও রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ প্রধান সব দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিগগিরই অভিন্ন সাতটি নদীর পানিবণ্টন ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে একটি কাঠামো গড়ে তুলতে মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হবে। সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পটিও জেআরসি বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হবে। ১০ বছর আগে ২০১০ সালে নয়া দিল্লিতে সর্বশেষ জেআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চুক্তিটি অনেক আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তির প্রতিটি পাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে।
মোমেন বলেন, কোভিড মহামারি ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে স্থান পেতে পারে। ভারত সর্বপ্রথম বাংলাদেশকেই কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বৈঠকে বিষয়টি আরও জোরালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ঢাকা ভারতকে জাতিসংঘে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ ঘোষণা দেবেন। সড়কটি বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে মেহেরপুরের মুজিবনগরে জিরো লাইনে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যমান। সড়কটি যে স্থানে অবস্থিত সেখানে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। সড়কটি দু’দেশের জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে। এছাড়াও দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।